নির্লিপ্ততার ব্যবচ্ছেদ
আসাদুল হক খোকন
অনেক দিন পর...
‘তুমি কেমন আছ’ বলতেই-
নির্লিপ্ততার পাশ দিয়ে একঝাঁক পাখি উড়ে গেল।
কিন্তু কোথায় যে গেল ওরা, তার কোন ঠিকানা জানা গেল না।
কেউ কেউ ডাকঘরে, খোঁজ নিয়ে জেনেছিল-
উড়ে যাওয়া পাখিদের বিপ্রলব্ধ ডানার কাহিনী।
পরে আর বহুদিন তার কোন খোঁজ জানা হয় নাই।
লোক মুখে শুনেছিলাম- একদিন প্রবল বাতাসে
দিগন্তে নিঃসীমে মিশে গিয়েছিল পাখিদের সেই সব আতœকথন!
বহুদিন হলো, পুকুরের পাড় ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা তালগাছটির ছায়াটি নিখোজ!
বিষপিঁপড়ের দল তাকে খুজঁতে গেল নিরুদ্দেশের হাটে।
কিন্তু হঠাৎ ইস্কুল ফেরত একটি বিষন্ন বালক তাকিয়ে দেখে
জেলে পাড়ার মেয়েরা তাল গাছটির স্তব্ধ ছায়াটিকে
কলসিতে ভরে নিয়ে যাচ্ছে চুপিচুপি অজানায়।
সেই থেকে অবাক বালক কলসির পিছে পিছে সব ভুলে এতদূর!
সেদিন সব আপত্তি- আকুতির পরও
তাল গাছটির দীর্ঘ ছায়াটিকে
ঝিনুকের তটে আর ফেরাতে পারেনি কেউই।
তবে; তার বিনিময়ে অবশ্য,
ডেভেলপার কোম্পানীর অফিসে রিসেপসনিস্ট মেয়েটির ঁেঠাটে
ঝুলে থাকা রাতুল হাসিটির কাছাকাছি সোনালী রঙের
মাছগুলোকে যে কাচঘরে বারবার ছুটাছুটি করতে দেখেছিল
সেই ছুটাছুটিগুলো তুলে দিয়েছিল বালকের আঙ্গুলের কোমল পরশে।
অনেক দিন পর...
কতদিন গত হলো, তার একটি ডিপোজিট হিসাব খুলতে
নগরের ব্যাংকগুলো স্তুপকৃত পুরনো শতছিন্ন
দুই টাকার নোটে হুমরি খেয়ে পরে।
পরে, বৈদ্যুতিক তামাশায়, কারো বেলা এগারটায়ই বারোটা বেজে যায়!
অবেলায় বাড়ি ফেরার আগে তবু; তারা খুশী হন এই ভেবে যে-
অন্তত আর কিছু না হলেও স্বাধীনতার এত বছর পরে
ঘড়ির কাটা- বেটাকে ইচ্ছেমত আগ- পিছ করার স্বাধীনতা পাওয়া গেছে!!
যেন- স্বাধীনতা শব্দটি রাস্তায় পরে থাকা টুকরো পাথর...
সম্মানহানীর কথা ভেবে এতদিনেও শুধু আলস্য ভেঙ্গে কুড়িয়ে নেয়া হয়নি!!
তার অনেক দিন পর...
হঠাৎ দেখে সেদিন নির্লিপ্ততাকে ভুল করে স্নিগ্ধতা মনে হয়।
মনে হয়- সেই নদীতট, হারানো গাছের ছায়া, বিষন্ন বালক,
রিসেপসনিস্ট মেয়েটি আর এ্যাকুরিয়মের সোনালী মাছ
এসবের কোনটিই সত্যি নয়!
অনেক দিন আগে...
কোন এক খাঁচাঘরে শীত ঘুম শেষে পরন্ত বেলার কালে
নির্লিপ্ততাকে নির্নিমেষ মুগ্ধ গোপনতায় চেয়ে দেখি!
দেখি - সবুজ ধানের ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছে সুগন্ধি বাতাস!
মগজের গোপন দেড়াজ ঘেঁটে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখি
ধুলোজমা পুরনো আবেগ।
দেখি- হলদে রঙের পা, একটি খয়েরি শালিখ
জানালায় কেন জানি ডানা ঝাপটায়!
এতদিন পরে...
বুঝতে পারি, নদীতটে দৃশ্যমান
তাল গাছটির ছায়ার মত-
নির্নিমেষ মুগ্ধ গোপনতার মত-
অনন্ত শুন্যতা ছাড়া
দু‘চোখের কার্নিশে স্তুপকৃত নানাবিধ দির্ঘ্যশ্বাস ছাড়া,
মূলতঃ কাউকেই দেখিনি তেমন।
না গোপনতা, না মুগ্ধতা, না নির্লিপ্ততা!!!
আসাদুল হক খোকন
অনেক দিন পর...
‘তুমি কেমন আছ’ বলতেই-
নির্লিপ্ততার পাশ দিয়ে একঝাঁক পাখি উড়ে গেল।
কিন্তু কোথায় যে গেল ওরা, তার কোন ঠিকানা জানা গেল না।
কেউ কেউ ডাকঘরে, খোঁজ নিয়ে জেনেছিল-
উড়ে যাওয়া পাখিদের বিপ্রলব্ধ ডানার কাহিনী।
পরে আর বহুদিন তার কোন খোঁজ জানা হয় নাই।
লোক মুখে শুনেছিলাম- একদিন প্রবল বাতাসে
দিগন্তে নিঃসীমে মিশে গিয়েছিল পাখিদের সেই সব আতœকথন!
বহুদিন হলো, পুকুরের পাড় ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা তালগাছটির ছায়াটি নিখোজ!
বিষপিঁপড়ের দল তাকে খুজঁতে গেল নিরুদ্দেশের হাটে।
কিন্তু হঠাৎ ইস্কুল ফেরত একটি বিষন্ন বালক তাকিয়ে দেখে
জেলে পাড়ার মেয়েরা তাল গাছটির স্তব্ধ ছায়াটিকে
কলসিতে ভরে নিয়ে যাচ্ছে চুপিচুপি অজানায়।
সেই থেকে অবাক বালক কলসির পিছে পিছে সব ভুলে এতদূর!
সেদিন সব আপত্তি- আকুতির পরও
তাল গাছটির দীর্ঘ ছায়াটিকে
ঝিনুকের তটে আর ফেরাতে পারেনি কেউই।
তবে; তার বিনিময়ে অবশ্য,
ডেভেলপার কোম্পানীর অফিসে রিসেপসনিস্ট মেয়েটির ঁেঠাটে
ঝুলে থাকা রাতুল হাসিটির কাছাকাছি সোনালী রঙের
মাছগুলোকে যে কাচঘরে বারবার ছুটাছুটি করতে দেখেছিল
সেই ছুটাছুটিগুলো তুলে দিয়েছিল বালকের আঙ্গুলের কোমল পরশে।
অনেক দিন পর...
কতদিন গত হলো, তার একটি ডিপোজিট হিসাব খুলতে
নগরের ব্যাংকগুলো স্তুপকৃত পুরনো শতছিন্ন
দুই টাকার নোটে হুমরি খেয়ে পরে।
পরে, বৈদ্যুতিক তামাশায়, কারো বেলা এগারটায়ই বারোটা বেজে যায়!
অবেলায় বাড়ি ফেরার আগে তবু; তারা খুশী হন এই ভেবে যে-
অন্তত আর কিছু না হলেও স্বাধীনতার এত বছর পরে
ঘড়ির কাটা- বেটাকে ইচ্ছেমত আগ- পিছ করার স্বাধীনতা পাওয়া গেছে!!
যেন- স্বাধীনতা শব্দটি রাস্তায় পরে থাকা টুকরো পাথর...
সম্মানহানীর কথা ভেবে এতদিনেও শুধু আলস্য ভেঙ্গে কুড়িয়ে নেয়া হয়নি!!
তার অনেক দিন পর...
হঠাৎ দেখে সেদিন নির্লিপ্ততাকে ভুল করে স্নিগ্ধতা মনে হয়।
মনে হয়- সেই নদীতট, হারানো গাছের ছায়া, বিষন্ন বালক,
রিসেপসনিস্ট মেয়েটি আর এ্যাকুরিয়মের সোনালী মাছ
এসবের কোনটিই সত্যি নয়!
অনেক দিন আগে...
কোন এক খাঁচাঘরে শীত ঘুম শেষে পরন্ত বেলার কালে
নির্লিপ্ততাকে নির্নিমেষ মুগ্ধ গোপনতায় চেয়ে দেখি!
দেখি - সবুজ ধানের ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছে সুগন্ধি বাতাস!
মগজের গোপন দেড়াজ ঘেঁটে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখি
ধুলোজমা পুরনো আবেগ।
দেখি- হলদে রঙের পা, একটি খয়েরি শালিখ
জানালায় কেন জানি ডানা ঝাপটায়!
এতদিন পরে...
বুঝতে পারি, নদীতটে দৃশ্যমান
তাল গাছটির ছায়ার মত-
নির্নিমেষ মুগ্ধ গোপনতার মত-
অনন্ত শুন্যতা ছাড়া
দু‘চোখের কার্নিশে স্তুপকৃত নানাবিধ দির্ঘ্যশ্বাস ছাড়া,
মূলতঃ কাউকেই দেখিনি তেমন।
না গোপনতা, না মুগ্ধতা, না নির্লিপ্ততা!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন