বিস্ময়কর আইন দেশে দেশে!
আসাদুল হক খোকন, নিউজরুম এডিটর
দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ, সৃঙ্খলা এবং অধিকার নিশ্চিৎ করতে যথাযথ আইনের কোন বিকল্প নেই। এ জন্য পৃথিবীর সব দেশেই রয়েছে তাদের নিজস্য আইন বা নিয়ম-নীতি। আমরা আইন মেনে চলায় বিশ্বাসী না হলেও পৃথিবীর সব দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত স্বদেশের আইন মেনে চলা। কারণ; এতে তাদের মঙ্গলই হবার কথা। তবে এসব আইনের মধ্যে সব আইনই যে জনগণের কল্যাণের জন্য তা ঠিক নয়। কোন কোন দেশে সঠিক ও উৎকৃষ্ট আইনের পাশাপাশি দু’একটি যুক্তিহীন হাস্যকর আইনও রয়েছে। এসবের কয়েকটি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
পরিপাটি আর পরিছন্নতার জন্য সিঙ্গাপুরের বেশ সুনাম রয়েছে। তবে সমগ্র দেশটি নিয়মিত পরিছন্ন রাখতে সিঙ্গাপুর সরকারের যে আইনটির কঠোর প্রয়োগ করতে হয় তা মোটেও সহজ নয়। সিঙ্গাপুরে রাস্তায় ময়লা ফেলার দায়ে কেউ তিন বার অভিযুক্ত হলে তাকে রোববার রাজপথ ঝাড়ূ দিতে হয়। এ সময় অভিযুক্তের গলায় 'আমি রাস্তা ময়লা করেছি' লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ দৃশ্য প্রচার করা হয় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতেও । শুধু তাই নয়, সে দেশে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে পানি না ঢাললে দিতে হয় মোটা অংকের অর্থদন্ড!
ইংল্যান্ডের কিছু জায়গায় কাউকে সিদ্ধ ডিমের সরু অংশ ভাঙতে দেখলে গ্রামের মুরগিখামারে তাকে সারাদিন নির্বাসন দেওয়া হয়। লন্ডনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার আগে রাস্তায় গরু নিয়ে হাঁটতে হলে আগেই পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়।
আর আমাদের দেশে রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন ভাঙ্গাচোড়া গাড়ি নিয়ে বের হলেও পুলিশের কোন অনুমতি লাগে না!
ডেনমার্কে জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তা অপরাধের আওতায় পড়ে না। কিন্তু পালাতে গিয়ে ধরা পড়লে রক্ষা নেই। জেলেই কাটাতে হয় জীবনের বাকি দিনগুলো। দেশটিতে কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কম্পিউটারের কোনো ফাইল কিংবা ফোল্ডার থেকে শুরু করে টিভি অনুষ্ঠান কোন কিছুতেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় না। এমন আজব আইন সম্পর্কে সে দেশের আইন প্রয়োগকারীদের যুক্তি হলো- সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধ ঠেকাতেই নাকি তৈরি করা হয়ছে এমন আইন!
স্কার্ট সাধারণত মেয়েদেরই পোষাক। কিন্তু; কোন পুরুষ শখ করে যদি কখনো স্কার্ট পড়ে? পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এ সংক্রান্ত কোন আইন না থাকলেও ইতালিতে রয়েছে ঠিকই । ইতালিতে কোনো পুরুষ স্কার্ট পরলে তাকে গ্রেফতার করতে পারে সে দেশের পুলিশ!
যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশেও কিছু আইন আছে, যা হাস্যকর। নিউইয়র্ক শহরে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ার শাস্তি মৃতুদন্ড! ম্যাসাচুসেটসে মৃতের শোকগ্রস্ত স্বজনদের ঘুম থেকে তুলে তিনটির বেশি স্যান্ডউইচ খাওয়ানো নিষেধ!
ফ্রান্সে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেতারে যেসব গান বাজানো হয়, তার ৭০ ভাগ অবশ্যই ফরাসি শিল্পীদের হতে হবে। দেশটিতে রেলস্টেশনে চুমু খাওয়া নিষেধ এবং কোনো শূকরছানাকে 'নেপোলিয়ন' নামে ডাকাও দন্ডনীয় অপরাধ!
নরওয়েতে নির্বাচনের দিন ৪.৭৫ ভাগ কিংবা তার বেশি অ্যালকোহোল আছে, এমন যে কোন পানীয় পান করা নিষিদ্ধ! এর মানেটা নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারছেন?
বাংলাদেশে প্রকাশ্যে জনসমুক্ষে ধুমপান করলে তার শাস্তি নগদ ৫০ টাকা জরিমানা। তবে মজার বিষয় হলো- এ আইন প্রয়োগকারী ও জরিমানা আদায়কারী পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই এ আইন মানেন না!
প্রতিদিন আমাদের কর্মঘন্টা থেকে কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে যানজটের কারণে, তার কোন হিসেব নেই। এ নিয়ে চলছে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপরও যানজট কমানো যায়নি, যাচ্ছে না। পুরনো জট না ছাড়িয়েই নতুন নতুন যানবাহন নামছে হচ্ছে রাস্তায়।
যানজট কমাতে বর্ধিত করা হচ্ছে আইনের পরিধিও। কিন্তু আইন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জনগণের যথেষ্ট শ্রদ্ধা না থাকায় তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। ফলে রাজধানী ঢাকায় বেড়েই চলেছে যানজটের যন্ত্রনা। চলুন এবার যানজট ও যানবাহন সংক্রান্ত কয়েকটি আইনের সাথে পরিচিত হই-
ফিলিপাইনে রয়েছে যানবাহন চলাচল সংক্রান্ত একটি বিচিত্র আইন । এটির মূল উদ্দেশ্য সম্ভবত যানজট কমিয়ে আনা। সে দেশে ১ ও ২ দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি সোমবার, ৩ ও ৪ সংখ্যা দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি মঙ্গলবার, ৫ ও ৬ দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি বুধবার, ৭ ও ৮ নম্বর দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি বৃহস্পতিবার এবং ৯ ও ১০ দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি শুক্রবার রাস্তায় বের হতে পারে না।
আইনটি কার্যকরের বেলায়ও প্রশাসন অসম্ভব শক্ত। একটু এদিক- সেদিক হলেই গাড়ির মালিককে পড়তে হয় আইনের ফাঁদে।
তবে রসিক জনেরা মনে করেন- আমাদের দেশে এমন আইন হলে নাকি মন্ত্রী আমলাদের বেলায় তার প্রয়োগ হতো সম্পূর্ণ ভিন্ন!
একই সাথে মোটর সাইকেল চালাতে হেলমেট ব্যবহার করার আইন রয়েছে। তবে মাঝে মাঝেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্যদের হেলমেটবিহীন অবস্থায় মটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়!
ইসরায়েলে সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রেও লাইসেন্স লাগে। শুধু কি তাই? পাঁচ বছর কিংবা তার বেশি সময় কেউ অবৈধভাবে বেতার স্টেশন চালালে স্টেশনটি বৈধ হয়ে যায় সেখানে। দেশটির আরাদ শহরে পশুকে প্রকাশ্যে খাবার দেওয়া নিষিদ্ধ! হাইফা শহরে বিয়ার নিয়ে সমুদ্র সৈকতেও যাওয়া, কিরিয়াত শহরে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আলোকসজ্জা, এমনকি জোরে কথা বলা একেবারেই নিষেধ!
অবশ্য আমাদের দেশে উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজিয়ে কানের পর্দা বিদীর্ণ করলেও কোন অভিযোগের বালাই নেই!
থাইলান্ডে গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই শার্ট পরে থাকতে হবে। রাস্তার ধারে চুইংগাম ফেলতে গিয়ে ধরা পড়লে ছয়শ' মার্কিন ডলার জরিমানা, অনাদায়ে জেল! সে দেশে মুদ্রা পায়ে মাড়ানো মানেই অপরাধ!
ফিনল্যান্ডে ট্যািক্স চালক নিজে গান শুনলে অর্থদন্ড দিতে হবে না। তবে যাত্রীদের উদ্দেশে গান বাজালেই সর্বনাশ। অবশ্যই গুনতে হবে জরিমানা!
এ রকম আরও বিচিত্র সব আইন ও তার প্রয়োগ ঘটেছে পৃথিবীর নানা দেশে। অবশ্য এসব আইনের বেশিরভাগই কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ অথবা বিলুপ্ত হয়ে গেছে!
আসাদুল হক খোকন, নিউজরুম এডিটর
দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ, সৃঙ্খলা এবং অধিকার নিশ্চিৎ করতে যথাযথ আইনের কোন বিকল্প নেই। এ জন্য পৃথিবীর সব দেশেই রয়েছে তাদের নিজস্য আইন বা নিয়ম-নীতি। আমরা আইন মেনে চলায় বিশ্বাসী না হলেও পৃথিবীর সব দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত স্বদেশের আইন মেনে চলা। কারণ; এতে তাদের মঙ্গলই হবার কথা। তবে এসব আইনের মধ্যে সব আইনই যে জনগণের কল্যাণের জন্য তা ঠিক নয়। কোন কোন দেশে সঠিক ও উৎকৃষ্ট আইনের পাশাপাশি দু’একটি যুক্তিহীন হাস্যকর আইনও রয়েছে। এসবের কয়েকটি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
পরিপাটি আর পরিছন্নতার জন্য সিঙ্গাপুরের বেশ সুনাম রয়েছে। তবে সমগ্র দেশটি নিয়মিত পরিছন্ন রাখতে সিঙ্গাপুর সরকারের যে আইনটির কঠোর প্রয়োগ করতে হয় তা মোটেও সহজ নয়। সিঙ্গাপুরে রাস্তায় ময়লা ফেলার দায়ে কেউ তিন বার অভিযুক্ত হলে তাকে রোববার রাজপথ ঝাড়ূ দিতে হয়। এ সময় অভিযুক্তের গলায় 'আমি রাস্তা ময়লা করেছি' লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ দৃশ্য প্রচার করা হয় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতেও । শুধু তাই নয়, সে দেশে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে পানি না ঢাললে দিতে হয় মোটা অংকের অর্থদন্ড!
ইংল্যান্ডের কিছু জায়গায় কাউকে সিদ্ধ ডিমের সরু অংশ ভাঙতে দেখলে গ্রামের মুরগিখামারে তাকে সারাদিন নির্বাসন দেওয়া হয়। লন্ডনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার আগে রাস্তায় গরু নিয়ে হাঁটতে হলে আগেই পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়।
আর আমাদের দেশে রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন ভাঙ্গাচোড়া গাড়ি নিয়ে বের হলেও পুলিশের কোন অনুমতি লাগে না!
ডেনমার্কে জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তা অপরাধের আওতায় পড়ে না। কিন্তু পালাতে গিয়ে ধরা পড়লে রক্ষা নেই। জেলেই কাটাতে হয় জীবনের বাকি দিনগুলো। দেশটিতে কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কম্পিউটারের কোনো ফাইল কিংবা ফোল্ডার থেকে শুরু করে টিভি অনুষ্ঠান কোন কিছুতেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় না। এমন আজব আইন সম্পর্কে সে দেশের আইন প্রয়োগকারীদের যুক্তি হলো- সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধ ঠেকাতেই নাকি তৈরি করা হয়ছে এমন আইন!
স্কার্ট সাধারণত মেয়েদেরই পোষাক। কিন্তু; কোন পুরুষ শখ করে যদি কখনো স্কার্ট পড়ে? পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এ সংক্রান্ত কোন আইন না থাকলেও ইতালিতে রয়েছে ঠিকই । ইতালিতে কোনো পুরুষ স্কার্ট পরলে তাকে গ্রেফতার করতে পারে সে দেশের পুলিশ!
যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশেও কিছু আইন আছে, যা হাস্যকর। নিউইয়র্ক শহরে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ার শাস্তি মৃতুদন্ড! ম্যাসাচুসেটসে মৃতের শোকগ্রস্ত স্বজনদের ঘুম থেকে তুলে তিনটির বেশি স্যান্ডউইচ খাওয়ানো নিষেধ!
ফ্রান্সে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেতারে যেসব গান বাজানো হয়, তার ৭০ ভাগ অবশ্যই ফরাসি শিল্পীদের হতে হবে। দেশটিতে রেলস্টেশনে চুমু খাওয়া নিষেধ এবং কোনো শূকরছানাকে 'নেপোলিয়ন' নামে ডাকাও দন্ডনীয় অপরাধ!
নরওয়েতে নির্বাচনের দিন ৪.৭৫ ভাগ কিংবা তার বেশি অ্যালকোহোল আছে, এমন যে কোন পানীয় পান করা নিষিদ্ধ! এর মানেটা নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারছেন?
বাংলাদেশে প্রকাশ্যে জনসমুক্ষে ধুমপান করলে তার শাস্তি নগদ ৫০ টাকা জরিমানা। তবে মজার বিষয় হলো- এ আইন প্রয়োগকারী ও জরিমানা আদায়কারী পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই এ আইন মানেন না!
প্রতিদিন আমাদের কর্মঘন্টা থেকে কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে যানজটের কারণে, তার কোন হিসেব নেই। এ নিয়ে চলছে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপরও যানজট কমানো যায়নি, যাচ্ছে না। পুরনো জট না ছাড়িয়েই নতুন নতুন যানবাহন নামছে হচ্ছে রাস্তায়।
যানজট কমাতে বর্ধিত করা হচ্ছে আইনের পরিধিও। কিন্তু আইন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জনগণের যথেষ্ট শ্রদ্ধা না থাকায় তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। ফলে রাজধানী ঢাকায় বেড়েই চলেছে যানজটের যন্ত্রনা। চলুন এবার যানজট ও যানবাহন সংক্রান্ত কয়েকটি আইনের সাথে পরিচিত হই-
ফিলিপাইনে রয়েছে যানবাহন চলাচল সংক্রান্ত একটি বিচিত্র আইন । এটির মূল উদ্দেশ্য সম্ভবত যানজট কমিয়ে আনা। সে দেশে ১ ও ২ দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি সোমবার, ৩ ও ৪ সংখ্যা দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি মঙ্গলবার, ৫ ও ৬ দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি বুধবার, ৭ ও ৮ নম্বর দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি বৃহস্পতিবার এবং ৯ ও ১০ দিয়ে শেষ হওয়া নম্বরের গাড়ি শুক্রবার রাস্তায় বের হতে পারে না।
আইনটি কার্যকরের বেলায়ও প্রশাসন অসম্ভব শক্ত। একটু এদিক- সেদিক হলেই গাড়ির মালিককে পড়তে হয় আইনের ফাঁদে।
তবে রসিক জনেরা মনে করেন- আমাদের দেশে এমন আইন হলে নাকি মন্ত্রী আমলাদের বেলায় তার প্রয়োগ হতো সম্পূর্ণ ভিন্ন!
একই সাথে মোটর সাইকেল চালাতে হেলমেট ব্যবহার করার আইন রয়েছে। তবে মাঝে মাঝেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্যদের হেলমেটবিহীন অবস্থায় মটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়!
ইসরায়েলে সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রেও লাইসেন্স লাগে। শুধু কি তাই? পাঁচ বছর কিংবা তার বেশি সময় কেউ অবৈধভাবে বেতার স্টেশন চালালে স্টেশনটি বৈধ হয়ে যায় সেখানে। দেশটির আরাদ শহরে পশুকে প্রকাশ্যে খাবার দেওয়া নিষিদ্ধ! হাইফা শহরে বিয়ার নিয়ে সমুদ্র সৈকতেও যাওয়া, কিরিয়াত শহরে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আলোকসজ্জা, এমনকি জোরে কথা বলা একেবারেই নিষেধ!
অবশ্য আমাদের দেশে উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজিয়ে কানের পর্দা বিদীর্ণ করলেও কোন অভিযোগের বালাই নেই!
থাইলান্ডে গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই শার্ট পরে থাকতে হবে। রাস্তার ধারে চুইংগাম ফেলতে গিয়ে ধরা পড়লে ছয়শ' মার্কিন ডলার জরিমানা, অনাদায়ে জেল! সে দেশে মুদ্রা পায়ে মাড়ানো মানেই অপরাধ!
ফিনল্যান্ডে ট্যািক্স চালক নিজে গান শুনলে অর্থদন্ড দিতে হবে না। তবে যাত্রীদের উদ্দেশে গান বাজালেই সর্বনাশ। অবশ্যই গুনতে হবে জরিমানা!
এ রকম আরও বিচিত্র সব আইন ও তার প্রয়োগ ঘটেছে পৃথিবীর নানা দেশে। অবশ্য এসব আইনের বেশিরভাগই কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ অথবা বিলুপ্ত হয়ে গেছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন