Powered By Blogger

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

আসুন ‘কাদা ছোড়াছুড়ি’ করি!

18 Aug 2011   06:26:48 PM   Thursday BdST Print this E-mail this

আসুন ‘কাদা ছোড়াছুড়ি’ করি!
আসাদুল হক খোকন


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
‘সাদা দিলে কাদা লাগাই গেলি রে বন্ধুয়া’ এটি জনপ্রিয় একটি লোকগানের কথা হলেও কাদা (সঁফ) নিয়ে আমাদের সমাজে কম উদাহরণ নেই। রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি কথাটি বহুল প্রচলিত। কাদা শব্দটির সমার্থক আরো ৩ টি শব্দ হলো পাক, কর্দম এবং পঙ্ক। বেশিরভাগ সময় আমাদের দেশে এর যত্রতত্র দেখা মেলে বর্ষাকালে।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে রাজধানীসহ সারা দেশই এখন কর্দমাক্ত বা কাদাময়। পথঘাট পুরোটাই কাদার দখলে থাকায় ঢাকাসহ সমগ্র দেশবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। বৃষ্টি থেকে কাদা আর তা থেকে ২নম্বরি কায়দায় বানানো পথঘাট ভেঙ্গে ‘ঘেয়ো কুত্তা’র রূপ নিয়েছে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক, যার জের ধরে মন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সরব হয়ে উঠেছেন- বেকায়দায় পড়ে গেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ‘আদরের আবুল’ও।
সুতরাং দুনিয়ার আর কেউ না বুঝুক, সজল শ্যামল বা কাদাময় এ দেশের আমজনতা অর্থাৎ আমাদের মত ভুক্তভোগীদের কাছে কাদা একটি অস্বস্তি, ভোগান্তি আর আতংকের নাম।
তবে চৈত্রের একটানা খরা আর দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামে গ্রামে বৃষ্টি প্রার্থণায় ছেলেদের দল বেঁধে পানি-কাদা মেখে নেচে গেয়ে বেড়াতে দেখা যায় এখনো এদেশেই। কিন্তু তা বলে কাদা নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষিত সভ্য মানুষ কাদাছোড়াছুড়ির প্রতিযোগিতায় রত হবে!
হ্যাঁ, কাদাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে জাঁকজমকের সঙ্গেই এবার পালিত হয়েছে ‘বার্ষিক কাদা দিবস’।
আমেরিকার মিশিগানের হিন্স পার্ক মিল এলাকায় সম্প্রতি বার্ষিক কাদা দিবস উদযাপন করতে জড়ো হয়েছিলো বিভিন্ন বয়েসি প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক ‘কাদা-প্রেমিক’। এ আয়োজনে ২০০ টনের অধিক চাষযোগ্য মাটির সঙ্গে ২০০০ গ্যালন পানি মিশেয়ে তৈরি করা হয় কাদার রাজ্য। এর পর নানা বয়েসি ছেলে-বুড়ো আর নারী-পুরুষ কমপক্ষে ২ ঘণ্টা এর মধ্যে নেমে মাটির শরীরে মাটি (কাদা) মেখে ‘কাদা খেলায়’ মশগুল থাকে। এরমধ্যে অবশ্য কয়েকটি বিষয় আলাদা করা ছিল। যেমন - ঘুর্ণন দৌড়, কাদা নরক ইত্যাদি।
Mud-day‘রঙ মেখে সঙ সাজা’র মত সারা গায়ে কাদা মেখে হাসি আনন্দে মেতেছিলো তারা। ইচ্ছেমত সারা শরীরে কাদা মেখে লাফ-ঝাপ দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে পেরে সবচেয়ে মজা পেয়েছে অবশ্য স্বর্গের প্রজাপতি শিশুরা।  অনেক শিশুর সঙ্গে পরিবারের মা-বাবা ভাই-বোনেরাও কাদা মাখামাখিতে অংশ নেয়। সবশেষে কাদা খেলায় একজন ছেলে শিশুকে ‘কাদারাজ’ এবং একজন মেয়ে শিশুকে ‘কাদারানী’ খেতাবে ভূষিত করে মুকুটও পরিয়ে দেওয়া হয়।
সুতরাং, কাদাকে আর অবহেলা নয়!

আসাদুল হক খোকন

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ১৮ আগস্ট, ২০১১

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন